ভেনিজুয়েলায় টিকটকের ব্যবহারে সরকারের সীমাবদ্ধতা আরোপের পর দেশটিতে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রিয় ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটোন জানিয়েছে, তাঁদের প্ল্যাটফর্মে নতুন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সম্প্রতি ৩৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনা মালিকানাধীন টিকটক সম্প্রতি ভেনিজুয়েলা সরকারের রোষানলে পড়ে। ভেনিজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য টিকটককে ৮ দিনের সময় দিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তা করতে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে টিকটকের ব্যবহার সীমিত করতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, প্রায় প্রতিদিনই ভেনিজুয়েলায় টিকটক ব্যবহারে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এর ফলে প্রোটোন ভিপিএন-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রোটোন ভিপিএন-এর এক মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমানে ভেনিজুয়েলায় ইন্টারনেটে সঠিক তথ্য অ্যাক্সেসের জন্য প্রোটোন ভিপিএন অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
গত গ্রীষ্মকালেই দেশটিতে প্রোটোন ভিপিএন-এর ব্যবহার ৫১,০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এখন এটি ভেনিজুয়েলার গুগল প্লেস্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ।
ভেনিজুয়েলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ নতুন নয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো টুইটারের (বর্তমানে এক্স) ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ বয়কটের ডাক দেন। একইভাবে, জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে আন্দোলন প্রশমনে একাধিক ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়।
টিকটককে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ভাইরাল চ্যালেঞ্জগুলো বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সময়সীমা পার হওয়ার পর থেকেই টিকটকের ব্যবহার সীমিত করতে শুরু করে সরকার।
তথ্যসূত্র: টেকরাডার